প্রকাশিত: Fri, Aug 4, 2023 10:30 PM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 8:06 PM

[১]হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে, রাজধানীমুখী না হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের

মাজহারুল মিচেল: [২] চলতি বছর দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। সিজন শুরুর আগেই মৃত্যু ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে। প্রতিদিনই মৃত্যু দেখছে দেশ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাশের সারিও। আর যোগ হচ্ছে নতুন নতুন রোগীর সংখ্যা।

[৩] এ পরিস্থতিতে হাসপাতালেও জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় দেশের সকল জায়গায় ডেঙ্গুর একই রকম চিকিৎসা হয় উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, এখন আমাদের ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বিকেন্দ্রীকরণে মনোযোগী হতে হবে।

[৪] ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল একেএম জহিরুল হুসাইন খান বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। হয়ত বেড দিয়ে তাদেরকে ভর্তি করা হচ্ছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তার পরে। তাদের ব্যবস্থাপনায় প্রচুর সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

[৫] তিনি জানান, সরকার অন্য জায়গা থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তার দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করলেও সমস্যা থেকে যায় পয়ঃনিস্কাশনে। একেক রোগীর সঙ্গে তিন-চার জন পরিবারের লোকজন থাকলে হাসপাতালের চাপ এমনিতেই বাড়ে বলে তিনি জানান।

[৬] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে সকল সরকারি হাসপাতালেই ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। সুতরাং ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য ঢাকামুখী না হওয়াই ভালো। 

[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৫৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯২ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৬৫ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

[৮] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯০২৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪৫৬৮ জন। অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

[৯] চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৪৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৩ হাজার ৪৫৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৮ হাজার ১৯ জন।

[১০] আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫২ হাজার ১৫৪ জন। ঢাকায় ২৮ হাজার ৬৫২ এবং ঢাকার বাইরে ২৩ হাজার ৫০২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব